ঈমান বৃদ্ধি হওয়ার কিছু উপায়:
=====================
*** ঈমান বৃদ্ধির ব্যাপারে সালাফদের আগ্রহ:
# ওমর (রা:) তাঁর সাথীদের লক্ষ্য করে বলতেন: তোমরা আস,কিছু ঈমান বৃদ্ধি করি।
# ইবনু মাসউদ (রা:) বলতেন: আমাদের সাথে বস,কিছু ঈমান বৃদ্ধি করি। তিনি দুয়া করতেন: হে আল্লাহ্ আমার ঈমান, এক্বীন ও দ্বীনের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।
# হযরত মুআয (রা:) বলতেন: আমাদের সাথে বস,আমরা কিছু সময় ঈমানের চর্চা করি।
–
ঈমান বৃদ্ধির উপায়:
(১) ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন: إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তো তাঁকে ভয় করে থাকে।” (সূরা ফাতির-২৮)
(২) কুরআন পাঠ করা,তা নিয়ে চিন্তা করা এবং বুঝে পাঠ করা। আল্লাহ্ বলেন: إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ
“নিশ্চয় এই কুরআন সর্বাধিক সরল ও সঠিক পথ প্রদর্শন করে।” (সূরা বানী ইসরাঈল-৯)
(৩) আল্লাহ্ তায়ালার সুন্দর সুন্দর নাম ও তাঁর সর্বোচ্চ গুণরাজি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা এবং সে জ্ঞানানুসারে তাঁর ইবাদত করা।
(৪) সীরাতুন নবী তথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবন-চরিত অধ্যয়ন করা এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
(৫) সালাফে সালেহীনের জীবনী পাঠ করা এবং তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করা।
(৬) ইসলামের সৌন্দর্য সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-গবেষণা করা।
(৭) আল্লাহ্ তায়ালার নিদর্শন তথা সৃষ্টি জগত নিয়ে গবেষণা করা।
(৮) অধিক হারে ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত থাকা, সৎ আমল সমূহ বেশী বেশী সম্পাদনের চেষ্টা করা। যেমন- সালাত, যাকাত, সদকা, সিয়াম, হজ্জ-উমরাহ, আল্লাহ্র জিকির, ইস্তিগফার, আল্লাহর কাছে বেশী বেশী দুআ, নিকটাত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক ইত্যাদি।
(৯) আত্মীক আমলের প্রতি গুরুত্ব দেয়া। আর তা হল- সর্বদা আল্লাহকে ভয় করা, তাঁকে ভালবাসা, তাঁর কাছেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পেশ করা, তাঁর প্রতি ভরসা রাখা, তাঁর প্রতি বিনীত হয়ে তাঁকে ডাকা ইত্যাদি।
(১০) আল্লাহর বান্দাদের প্রতি সদয় হওয়া।
(১১) হেকমত এবং উত্তম উপদেশের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর রাস্তায় আহবান করা।
(১২) সাধ্য এবং সামর্থ্যানুযায়ী সৎ কাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎ কাজ থেকে বাধা প্রদান করা।
(১৩) ভাল ও সৎ লোকদের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করা।
(১৪) মিথ্যা ও অশ্লীল কথাবার্তার বৈঠক থেকে উঠে যাওয়া।
(১৫) বেশী খাদ্য, বেশী কথা, বেশী নিদ্রা এবং মানুষের সাথে বেশী মেলামেশা থেকে বিরত থাকা।
(১৬) সর্বদা দৃষ্টি অবনত রাখা।
(১৭) মানুষের হাতে যা আছে তা থেকে নিজেকে পবিত্র রাখা। অর্থাৎ মানুষের সম্পদের প্রতি লোভ না করা।
(১৮) সত্যবাদী হওয়া। কেননা সত্যবাদিতা সৎপথ প্রদর্শন করে।
(১৯) দ্বীনী বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের দিকে দৃষ্টিপাত করা। আর দুনিয়াবি বিষয়ে নিচু পর্যায়ের লোকদের প্রতি লক্ষ্য করা।
~শায়খ আব্দুল্লাহিল কাফী