ইলম বা জ্ঞান

অনুবাদঃ আবু হাযম মুহাম্মাদ সাকিব চৌধুরী বিন শামস আদ দীন আশ শাতকানী এবং মুহাম্মাদ আসিম উল্লাহ নাবিল ইবন মুহিব

 

 

العلم (আল-ইলম)

সংজ্ঞাঃ

إدراك الشيء على ما هو عليه إدراكا جازما

কোন বিষয়ের বুঝ যার উপর এটি দাঁড়িয়ে আছে পরিপূর্ণ  বুঝ সহকারে।

উদারহণস্বরূপ, এ বুঝ যে, পরিপূর্ণতা আংশিকের চেয়ে বড় এবং নিয়্যাত করা ইবাদাতের শর্ত।

 

সুতরাং, আমাদের বক্তব্য “إدراك الشيء বা কোন কিছুর বুঝ” থেকে বেরিয়ে গেছেঃ একটি পরিপূর্ণ বুঝের অভাব। এবং এটাকে বলা হয় “الجهل البسيط”। উদাহরণস্বরূপঃ যদি এটা জিজ্ঞেস করা হয়, “বদরের যুদ্ধ কবে হয়েছিল ?” । তাহলে জবাবদানকারী বললঃ “জানি না”।

এবং আমাদের বক্তব্যঃ “على ما هو عليه বা যার উপর এটি দাঁড়িয়ে আছে ” থেকে বেরিয়ে গেছেঃ  এমন বুঝ, যে বিষয়ের উপর স্থাপিত তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এবং এটাকে বলা হয়  “الجهل المركب”। যেমনঃ যদি জিজ্ঞেস করা হয়ঃ  “বদরের যুদ্ধ কবে হয়েছিল ?”। তাহলে জবাবদানকারী বললঃ “হিজরী তৃতীয় সনে”[1]

এবং আমাদের বক্তব্যঃ “إدراكا جازما বা পরিপূর্ণ বুঝ” থেকে বেরিয়ে গেছেঃ এমন কোন কিছুর বুঝ যা পরিপূর্ণ বুঝ নয়; যেক্ষেত্রে এই বুঝের সাথে এমন কিছু বহন করা যা প্রথম বুঝের দৃষ্টিকোণ ব্যতীত অপর কোন বুঝ। সেক্ষেত্রে তাকে ইলম বলা হবে না। অতঃপর কোন ব্যক্তির বিবেচনায় এই দুই মতের কোন একটিকে যদি অধিকতর সম্ভাবনাময় হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়, সেক্ষেত্রে الراجح (আর রাজিহ, অধিকতর সম্ভাবনাময়) মতটি হচ্ছে الظن (আয-যন্ন, সংজ্ঞা পরবর্তীতে আসছে) এবং المرجوح (আল মারজুহ, অধিকতর কম সম্ভাবনাময়) মতটি হচ্ছে وهم (ওয়াহম, সংজ্ঞা পরবর্তীতে আসছে); আর যদি এ দুটি বিষয়ে মতামত সম পর্যায়ের হয় তবে সে ক্ষেত্রে এটি الشك (আশ শাক্ক, সংজ্ঞা পরবর্তীতে আসছে)। [2]

 

এবং এ থেকে বর্ণনাকৃত হয় যে বিভিন্ন বিষয় সমূহের সাথে ইদরাক বা বুঝের সম্পর্ক নিম্নরূপঃ

১। علم (ইলম): কোন বিষয়ের বুঝ যার উপর এটি দাঁড়িয়ে আছে পরিপূর্ণ বুঝ সহকারে।

২। جهل بسيط (জাহল বাসিত): এবং সেটি সম্পূর্ণরূপে বুঝের অনুপস্থিতি।

৩। جهل مركب (জাহল মুরাক্কাব): আর তা কোন বিষয়ের বুঝ এমন দৃষ্টিকোণ হতে যা প্রকৃতপক্ষে এটি যার উপর স্থাপিত তার বিপরীতে।

৪। ظن (আয-যন্ন): এবং তা কোন বিষয়ের বুঝ যা এর বিপরীত কোন مرجوح (মারজুহ, অধিকতর কম সম্ভাবনাময় কোন মত) কেও একই সাথে বহন করে।

৫। وهم (ওয়াহাম): এবং তা কোন বিষয়ের বুঝ যা এর বিপরীত কোন راجح (রাজিহ, অধিকতর সম্ভাবনাময় কোন মত) কেও একই সাথে বহন করে।

৬। شك (শাক্ক): এবং তা কোন বিষয়ের বুঝ যা এর বিপরীত কোন সমমানের মত কেও একই সাথে বহন করে।

 

 

 

أقسام العلم (ইলমের প্রকারভেদ)

ইলম দুই প্রকার।  ضروري ( দ্বারুরী) এবং نظري (নাযারী)ঃ

 

১। الضروري (আদ-দ্বারুরী):

যা জ্ঞানের কোন বুঝ যাতে ضرورة (ধারুরাহ, অর্থাৎ আবশ্যিকিতা) রয়েছে; যে ক্ষেত্রে কোনরূপ نظر (নাযার, অর্থাৎ গবেষণা, তর্ক বিতর্ক) এবং إستدلال(ইস্তিদলাল, অর্থাৎ দলীল উপস্থাপন) ব্যতীত এর প্রতি বাধ্য করা হয়। উদারহণস্বরূপ এ বুঝ যে পরিপূর্ণতা আংশিকের চেয়ে বড় এবং আগুন উত্তপ্ত এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল।

 

২। النظري (আন-নাযারী):

যার জন্য نظر (নাযার, অর্থাৎ গবেষণা, তর্ক বিতর্ক) এবং إستدلال (ইস্তিদলাল, অর্থাৎ দলীল উপস্থাপন) এর প্রয়োজন রয়েছে। উদাহরণস্বরূপঃ সালাতের মধ্যে অজুর জন্যে নিয়্যাতের ওয়াজিব হওয়া।

 

[1] অনুবাদকঃ যা সত্য নয়, কারণ বদরের যুদ্ধ হিজরী তৃতীয় সনে সংঘটিত হয়নি।

[2] প্রশ্নঃ মানুষের জন্যে শারীয়াতের হুকুম সমূহ এবং বিভিন্ন ঘটনাবলীর মধ্যে যান অনুসরণ করা কি জায়েয?

উত্তরঃ যদি কোন বিষয়ে ইয়াকিন পর্যায়ের মত অনুপস্থিত হয়, সে ক্ষেত্রে অধিকতর শক্তিশালী যানের ভিত্তিতে আমল করা জায়েয। আর কিতাবে অর্থাৎ আল কুরআনে এবং আস সুন্নাতে এ বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।

আল কুরআন হতেঃ

আল্লাহর বক্তব্যঃ

لاَ يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا

আল্লাহ কোন নাফসকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না। (সূরা বাকারাহ ২: ২৮৬)

 

এবং তার বক্তব্যঃ

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর (সূরা তাগাবুন ৬৪:১৬)।

 

এবং তার বক্তব্যঃ

إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا

যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে (সূরা আল হুজুরাত ৪৯:৬)।

 

আস সুন্নাহ হতেঃ

নবী (ﷺ) এর বক্তব্যঃ

إذا شك أحدكم في صلاته فليتحر الصواب، ثم ليبن عليه

যদি তোমাদের মধ্যে কেউ তার সালাতের মধ্যে সন্দেহ করে, তবে সে যেন এর সঠিক ফলাফল অনুসন্ধান করে; এর পর সে যান তার উপরেই স্থায়ী হয়। (বুখারী ৩৯২, মুসলিম ৫৭২)

 

এবং এ বিষয়ে আল কুরআন এবং আল হাদিস হতে অসংখ্য বাণী রয়েছে।

 

প্রশ্নঃ (যদি কেউ বলেঃ) তোমরা কিভাবে যান দ্বারা হুকুম করাকে অনুমোদন দাও, অথচ আল্লাহ যারা যান্ন এর অনুসারী তাদের নিন্দা করেছেন আর বলেছেনঃ

إن يتبعون إلا الظن

তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে (সূরা আল আনাম ৬:১১৬)

 

وَلاَ تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُوْلَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْؤُولاً

যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। (সূরা ইসরা ১৭:৩৬)

 

قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُواْ بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللَّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ

অর্থাৎ, আপনি বলে দিনঃ আমার পালনকর্তা কেবলমাত্র অশ্লীল বিষয়সমূহ হারাম করেছেন যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য এবং হারাম করেছেন গোনাহ, অবাধ্যতা, সত্যের ব্যতিরেকে এবং  আল্লাহর সাথে এমন বস্তুকে অংশীদার করা, যা তিনি অবতীর্ণ করেননি তার রাজত্ব থেকে এবং আল্লাহর প্রতি এমন কথা বললে, যা তোমরা জান না। (সূরা আ’রাফ ৭:৩৩)।

 

সুতরাং এ সকল ঐশী বাণী এ কথাই নির্দেশ করে যে, যান্ন দ্বারা হুকুম করা জায়েয নয়। আর যদি আপনার এ বিষয়ে ইয়াকিন না থাকে যে তা আল্লাহর হুকুম কি না, তবে আপনার জন্যে এটি হালাল নয় যে আপনি তা দ্বারা হুকুম করবেন।

 

উত্তরঃ আল্লাহ যে যন্ন কে নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন, সেটি হচ্ছে সেই যান্ন যে ক্ষেত্রে কোন قرينة (কারিনাহ, সম পর্যায়ের মত) নেই; যে কারনে আল্লাহ সকল যান্নকেই গুনাহ স্বরূপ করেন নি। বরঞ্চ তিনি বলেছেন,

إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ

নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। (সূরা হুজুরাত ৪৯:১২)

 

আমরা বলি তাঁর এ বক্তব্যের ব্যপারেঃ

وَأَن تَقُولُواْ عَلَى اللَّهِ مَا لاَ تَعْلَمُونَ

আল্লাহর প্রতি এমন কথা বল না, যা তোমরা জান না। (সূরা আ’রাফ ৭:৩৩)।

আমরা আল্লাহর সম্পর্কে এমন কিছু বলি না যা আমরা জানি না, কিন্তু আমরা জানি আমাদের রাব (আযযা ওয়া জাল) আমাদের উপর সে বিষয় চাপিয়ে দেননি যে বিষয়ে আমাদের ক্ষমতা নেই, এবং যে বিষয়ে আমাদের বুঝ নেই।

 

আমরা যদি আল কুরআন এবং আস সুন্নাহ অধ্যায়ন করি, সে ক্ষেত্রে আমরা তা দ্বারা কোন বিষয়ের হুকুমের দলিল দিতে পারি।

সুতরাং আমদের অবস্থান কিছু বিষয়ের মধ্যবর্তীঃ

– হয় আমরা যখন বিধানটি পড়ব তখন হয়ত আমরা সে বিষয়ে ইয়াকীন লাভ করব। যেমন আমাদের জ্ঞান হল মৃত কোন কিছু (খাওয়া) হারাম।  কেননা আল্লাহ বলেনঃ حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةُ অর্থাৎ, তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব। (সুরা মায়িদাহ ৫:৩)।

– অথবা আমরা কোন হুকুমের ব্যাপারে বিভ্রান্ত হয়ে গেছি। অর্থাৎঃ এ বিষয়ে আল কুরআন এবং আল হাদিসের নির্দেশনার ব্যপারে আমরা বিভ্রান্তঃ এটি রাজিহ বা মারজুহ ব্যতীত। সে ক্ষেত্রে আমাদের জন্যে ওয়াজিব হচ্ছে এ বিষয়ে توقف (তাওয়াক্কুফ, মত প্রদান হতে বিরত থাকা) করা।

– অথবা আমাদের কাছে কোন একটি প্রতীয়মান হয়েছে যে এই দলিল অমুক অমুক বিষয়ের ব্যপারে নির্দেশ করে। তখন আমরা আমাদের আকল বা বুদ্ধিমত্তাকে প্রশ্ন করিঃ এ ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি এরূপঃ যে বিষয়টি অধিকতর সম্ভাবনাময় তাকে আপনি আচ্ছাদিত করে রাখবেন এবং আল্লাহর হুকুমসমূহের মধ্য হতে একটি হুকুমের ব্যপারে متوقف (মুতাওয়াক্কিফ, যে ব্যক্তি তাওয়াক্কুফ করেছে কোন বিষয়ে) রয়ে যাবেন? নাকি এটিই আরও বেশী গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার কাছে যে মতটি অধিকতর সম্ভাবনাময় মনে হয়েছে তাকেই গ্রহন করবেন কেননা আপনি এ বিষয়ে ইয়াকিন স্তরের আদেশ পাননি? (অনুবাদকঃ অর্থাৎ ১০০ ভাগ নিশ্চিত হতে পারেন নি)

 

এতে কোন কোন সন্দেহ নেই যে বুদ্ধিমান ব্যক্তি এ ক্ষেত্রে বলবেঃ রাজিহকেই বেছে নাও। সুতরাং এটি আপনার ক্ষমতার সামর্থ্য অনুযায়ী। আর আজ পর্যন্ত উলামারা একেই অনুসরণ করে আসছেন। বরং কেউ কেউ তাদের নিকট যে মতটি রাজিহ বা অধিকতর সম্ভাবনাময় হয়েছে তাকেই বেছে নিয়েছে, যদিও সেটি অনেক দূরের মত। যেমন অনুপস্থিত ব্যক্তির ব্যপারে নির্দেশনার বিষয়ে, যা হিন্দ বিনত উতবাহ এর হাদিসের সানাদ হতে, কিন্তু এ বিষয়ের সাথে এটি সম্পর্কযুক্ত নয়। কিন্তু এটিই তাদের কাছে সবচাইতে শক্তিশালী যন্ন। (বুখারী ৫৩৬৪, মুসলিম ১৭১৪)

 

এ কারনেই আপনি উলামাদের এ কথা বলতে দেখবেন যে এ বিষয়ে দুটো দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আর সর্বাধিক সম্ভাবনাময় এরূপ এরূপ। কেননা সকল বিষয়ে ইয়াকিন অর্জন করা সম্ভব নয়। আর যদি ইয়াকিন অর্জন করা সম্ভব না হয়, (তার অর্থ এই নয় যে) আমরা আল্লাহর বান্দাগণকে আল্লাহর শারীয়াতের হুকুম ব্যতীত ডাকব। বরং আমরা সবচাইতে সম্ভাবনাময় যান্ন দ্বারাই আদেশ করব। আর আমরা এক্ষেত্রে (শুধু অনুমান নির্ভর) যান্নকে অনুসরণ করি না, বরং আমরা আল্লাহর এ বক্তব্য হতে নিইঃ

لاَ يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا

আল্লাহ কোন নাফসকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না। (সূরা বাকারাহ ২: ২৮৬)

 

এবং এটিই আমাদের বুঝ!

আর আমরা যদি উলামাবৃন্দকে বলি, আপনারা যে বিষয়ে ইলমের পর্যায়ে পৌঁছিয়েছেন তা ব্যতীত আর কিছু দ্বারা হুকুম করবেন না, তবে হুকুম সমূহের মধ্য হতে অনেক মাসআলা ছুটে যাবে।

আর প্রতিদিন এমন অনেক মাসআলা আমাদের নিকট আসে যাতে খিলাফ বা ভিন্নমত রয়েছে। আর ভিন্নমতের মাসআলাতে সর্বাধিক শক্তিশালী বিষয় হচ্ছে এতে যে হুকুম রয়েছে তা যান্ন এর উপর স্থাপিত। কেননা পরিষ্কার ইলমের ব্যাপারে মানুষ মতানৈক্য করে না। কিন্তু যন্নএর ব্যাপারে মানুষ মতানৈক্য করে। আর যে সব বিষয়ে কারিনাহ রয়েছে সে সব বিষয়ে এর দলিলাদি নিয়ে মানুষ ইখতিলাফ করে। আর সে কারণেই যদি আমরা উলামাদের বাধ্য করি যে তারা যেন যে বিষয়ে পরিষ্কার ইলম রয়েছে, তা ব্যতীত হুকুম না দেন, সে ক্ষেত্রে অনেক হুকুম ছুটে যাবে, আর যদি আমরা বলতে পারি – অধিকাংশ হুকুমসমূহ!

(شرح الأصول من علم الأصول, মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল ইবন উথাইমীন, দার ইবন জাওযি, দ্বিতীয় সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৯২-৯৪)

 

(অনুবাদকের গুরুত্বপূর্ণ উপদেশঃ উসুল উল ফিকহের সকল ইস্তিলাহী শব্দগুলো সঠিক আরাবীতে শিখাবার জন্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের লেখনীতে আরাবীর আধিক্য রাখা হয়েছে। এ ব্যপারে অত্যন্ত শক্ত করে উপদেশ দেওয়া হলো। একই সাথে শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে এ সকল বিষয় শিখবার উপদেশ দেওয়া হলো। )

 

স্বত্বাধিকারী © www.darhadith.com

Share: