তাবলীগ জামাতের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদা

তাবলীগ জামাতের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বীদা – ফাযায়েলে দরুদ শরীফ

মৃত্যুর পরও নবী (স.) এর মেহমানদারী -পৃ: ১০৮-১০৯- তাবলীগী কুতুবখানা- সংশোধিত সংস্করণ ২৩ জানুয়ারী ২০০৭ ইং

মেঘ হতে রসূল (স.) এর অবতরণ ও মৃত মহিলার মুখ ও পেটে হাত ফিরানো – ফাযায়েলে দলুদ শরীফ

আপনি সেই চিরঞ্জীবের উপর ভরসা করুন, যার মৃত্যু নেই এবং তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করুন। তিনি বান্দার গোনাহ সম্পর্কে যথেষ্ট খবরদার। (Al-Furqaan 25: 58)

إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُم مَّيِّتُونَ

নিশ্চয় তোমারও মৃত্যু হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে। (Az-Zumar 39:30)

জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। অতঃপর তোমরা আমারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। (Al-Ankaboot 29: 57)

আপনার পূর্বেও কোন মানুষকে আমি অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মৃত্যু হলে তারা কি চিরঞ্জীব হবে? (Al-Anbiyaa 21: 34) প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (Al-Anbiyaa 21: 35)

আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন। (Aali Imraan 3: 144)

নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, সে সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাগনের এবং সমগ্র মানুষের লা’নত। (Al-Baqara 2: 161)

বস্তুতঃ আমাদের সাথে তোমার শত্রুতা তো এ কারণেই যে, আমরা ঈমান এনেছি আমাদের পরওয়ারদেগারের নিদর্শনসমূহের প্রতি যখন তা আমাদের নিকট পৌঁছেছে। হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর। (Al-A’raaf 7: 126)

ঈসা (আ.) এর লোকান্তরের পরও তিনি তাঁর উম্মতের ব্যাপারে অবগত ছিলেন না: (সূরা মায়েদা ৫: ১১৬ – ১১৭)

কাছীদার জন্য নবী (স.) এর কবর হতে হাত বেরিয়ে আসা

যখন আল্লাহ বললেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে ও আমার মাতাকে উপাস্য সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র! আমার জন্যে শোভা পায় না যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোন অধিকার আমার নেই। যদি আমি বলে থাকি, তবে আপনি অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয় আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাত।(৫:১১৬) আমি তো তাদেরকে কিছুই বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি যা আপনি বলতে আদেশ করেছিলেন যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব অবলম্বন কর যিনি আমার ও তোমাদের পালনকর্তা; আমি তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলাম যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে আপনিই তাদের সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে পূর্ণ পরিজ্ঞাত।(৫:১১৭)

অধ্যায়: কোমল হওয়া | অনুচ্ছেদ: হাউয

সহীহুল বুখারী :: হাদিস :৬৫৮৪

রাবী আবূ হাযিম বলেন, নুমান ইবনু আবূ আইয়্যাশ আমার কাছ থেকে হাদীস শ্রবন করার পর বললেন, তুমিও কি সাহল থেকে এরূপ শুনেছ? তখন আমি বললাম, হ্যাঁ, তিনি বললেন, আমি আবূ সাঈদ খুদরী h সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি তার কাছ থেকে এততুকু অধিক শুনেছি । নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমি তখন বলব যে এরা তো আমারই উম্মত । তখন বলা হবে, তুমি তো জান না তোমার পরে এরা কি সব নতুন নতুন কীর্তি করেছে । রাসূল (ﷺ) বলেন তখন আমি বলব, আমার পরে যারা দ্বীনের মাঝে পরিবর্তন এনেছে তারা আল্লাহর রহমত থেকে দূরে থাকুক । ইবনু আব্বাস h বলেন, سُحْقًا ’অর্থ দূরত্ব سَحِيقٌ অর্থ দূর, سَحِيقٌ وَأَسْحَقَهُঅর্থ তাকে দূর করে দিয়েছে । তাহক্বীক:: সহিহ। তাখরীজ :: ( বুখারীঃ তা.পা ৭০৫১, মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯০, ২২৯১, আহমাদ ২২৮৮৫] ( আ.প্র. নাই, ই.ফা. ৬১৩৪)

অধ্যায়: সাহাবীগন | অনুচ্ছেদ: যদি আমাকে না পাও তবে আবুবকরেরনিকট আসবে

সহীহুল বুখারী :: হাদিস :৩৬৫৯

হুমাইদী ও মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ (র) ………… জুবায়র ইবনু মুতঈম h থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন মহিলা নবী করিম (ﷺ)এর খেদমতে এলো। (আলোচনা শেষে যাওয়ার সময়) তিনি তাঁকে আবার আসার জন্য বললেন। মহিলা বলল, আমি এসে যদি আপনাকে না পাই তবে কি করব? একথা দ্বারা মহিলাটি নবী করিম (ﷺ) এর ওফাতের প্রতি ইঙ্গিত করেছিল। নবী করিম বললেন, যদি আমাকে না পাও তবে আবু বকরের নিকট আসবে।

তাহক্বীক:: মারফু হাদিস। তাখরীজ :: [ বুখারীঃ তা.পা ৩৬৫৯, ৭২২০-৭৩৬০, মুসলিম ৪৪/১, হাঃ২৩৮৬, আহমাদ ১৬৭৫৫) ( আ.প্র.৩৩৮৭, ই.ফা.৩৩৯৪)

অধ্যায়:বৃষ্টির জন্য দু| অনুচ্ছেদ:অনাবৃষ্টির সময় ইমামের নিকটবৃষ্টিরজন্য লোকদের দুআর আবেদন

সহীহুল বুখারী :: হাদিস : ১০১০

হাসান ইবনু মুহাম্মদ (র)…………. আনাস ইবনু মালিক h থেকে বর্ণিত, উমর ইবনু খাত্তাব h অনাবৃষ্টির সময় আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব h এর উসিলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দু’আ করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ! (প্রথমে) আমরা আমাদের রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) এর উসিলা দিয়ে দোয়া করতাম এবং আপনি বৃষ্টি দান করতেন। এখন আমরা আমাদের রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) এর চাচার উসিলা দিয়ে দু’আ করছি, আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন। বর্ণনাকারী বলেন, দু’আর সাথে সাথেই বৃষ্টি বর্ষিত হতো। তাহক্বীক:: সহিহ , মাওকূফ। তাখরীজ :: ( বুখারীঃ তা.পা ৩৭১০) ( আ.প্র.৯৫০, ই.ফা.৯৫৫)

>>>>>Special Courtesy: dararqam.com<<<<<

Share: