মুসলিমাহ নারীদের কাজ “বাচ্চা জন্ম দেওয়া” এবং “স্বামীকে খুশি করা”

মুসলিমাহ নারীদের কাজ “বাচ্চা জন্ম দেওয়া” এবং “স্বামীকে খুশি করা” বলতে শুনলেই আমাদের মুসলিমদের গায়ে যেন দাউদাউ করে আগুন জ্বলে যায়! কেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কি এটাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব করে দেন নি? আল্লাহর তা’আলার ইবাদতের জন্য আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সত্যি কথা। কিন্তু একজন নারীর প্রধান দায়িত্ব কি??

যেই চারজন নারী জান্নাতের সর্বশ্রেষ্ঠ আসনে থাকবেন, যারা দুনিয়া ও আখিরাতে সবচেয়ে সম্মানিত, যাদের মর্যাদা পুরো পৃথিবীর সব নারীর মধ্যে সবচাইতে বেশি; তাঁরা এই অবস্থানে কেন আছেন??

কি করেছিলেন তাঁরা? কীভাবে আল্লাহর ইবাদত করেছেন যে তাদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে এতোটা বেড়ে গেছে??

এই চারজনের প্রত্যেকেই তাদের মা এবং স্ত্রী হবার কর্তব্য পালনের মধ্য দিয়েই এই মর্যাদার উপযোগী হয়েছেন।

মারইয়াম (রা) হলেন সেরাদের সেরা। তিনি সমগ্র বিশ্বের নারীদের মাঝে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। তাকে নিয়ে কুর’আনে বলা হয়েছে –

“হে মারইয়াম, আল্লাহ তোমাকে পছন্দ করেছেন এবং তোমাকে পবিত্র পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছেন। আর তোমাকে বিশ্ব নারী সমাজের ঊর্ধ্বে মনোনীত করেছেন।” [সূরা আলে ইমরান: আয়াত ৪২]

এই মারইয়াম, আল্লাহর কাছে তাঁর সম্মান পেয়েছেন ঈসা (আ) এর মা হবার কারণে। একজন মা হওয়া অনেক বড়ো ব্যাপার। মা হবার কষ্ট, ধৈর্য্য, সন্তান লালন-পালন এবং সুসন্তান গড়ে তোলা বিশাল ব্যাপার, বিশাল! এই প্রতিটা কাজ আল্লাহর ইবাদতের অংশ। আর এভাবে ইবাদত করেই তিনি অর্জন করেছেন সর্বশ্রেষ্ঠ অবস্থান।

দ্বিতীয় খাদিজা (রা)। নবীজি (সা) এর জন্য তিনি কতো ত্যাগস্বীকার করেছেন, পড়তে পড়তে চোখ দিয়ে পানি আসে। সত্যি বলবো, আমি জানি, আমি কোনদিন এতোটা করতে পারবো না নিজের স্বামীর জন্য। বরং আমরা তো অতি তুচ্ছ ব্যাপারেও ধৈর্য্যহারা হয়ে পড়ি।

তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে আছেন আসিয়া ও ফাতিমা (রা)। দুজনের একজন মা এবং একজন স্ত্রী হিসেবে নিজের দায়িত্ব অত্যন্ত সুষ্ঠুরূপে পালন করেছেন।

এই চারজন নারীর কেউ-ই বাইরে পড়াশোনা করতে যান নি। ঘরের বাইরে গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য-চাকরিবাকরি করতে যান নি। হ্যাঁ, আপনি বলবেন – ওগুলো তো হাজার বছর আগের কথা ছিল। এখন সময় বদলেছে, এখন নারী-পুরুষ সব সমান। সবাই ঘরের বাইরে যাওয়াই এখন স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদেরকে বুঝতে হবে, দ্বীনের কিছু কন্সট্যান্ট বিষয় আছে। দ্বীনের এই ভিতগুলো যুগের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়ে যায় না। আল্লাহ তা’আলা ইসলামকে সব যুগের উপযোগী করেই প্রেরণ করেছেন। এতে হেরফের করার কোন প্রয়োজন নেই।

আমরা সঠিক ইসলামের অনুসারী হলে জেনে থাকবো, আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের চূড়ান্ত সাফল্য কখোনোই এইসব দুনিয়াবি পড়াশোনা কিংবা ক্যারিয়ারের ওপর নির্ভর করে না। রিকশাওয়ালার গরিব বউটা, যে বাচ্চা আর সংসার ছাড়া কিছুই জানে না, সেও জান্নাতে এই লন্ডনে পড়া আমার চাইতে উপরে অবস্থান করতে পারে, শুধুমাত্র তার ঈমান, আমল, ও ইবাদতের জোরে। আমাদের শুনতে খারাপ লাগতে পারে, কিন্তু সত্য শ্রুতিমধুর না হলেও বদলে যায় না।

বর্তমান সমাজে সম-অধিকারের জোয়ার এসেছে। মেয়েদেরকে পড়াশোনা করতে হবে। শুধু তাই নয়, আমাদেরকে ক্যারিয়ারিস্ট ও অ্যাম্বিশাস হতে হবে। এই ডিগ্রি নেওয়ার কারণই হলো যেন আমরা আমাদের ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে পারি। যেন দুনিয়াবি একটা পদমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। সমাজ বেধেই দিয়েছে মেয়েদের কাজগুলো কী কী। মেয়েদেরকে পুরুষের মত ঘর থেকে বের হয়ে অবশ্যই চাকরি-বাকরি করতে হবে। কোন নারী যদি নিজের ইচ্ছায় ঘরে বসে থাকে, যদি সে ভাবে “আমি এতো কষ্ট করে চাকরি করতে চাই না, শুধু সন্তানকে সময় দিতে চাই,” তাহলে তাকে বাঁকা চোখে দেখা হবে। লোকের নজরে, সমাজের নজরে সে নিশ্চিতভাবেই নিচু বলে গণ্য হবে। আপনি এটাকে “অধিকার” বলেন? আমি বলবো, চাপিয়ে দেওয়া বোঝা। অত্যাচার। জুলুম। এভাবে নারীদেরকে এমন কিছু কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে যা তার স্বাভাবিক প্রকৃতির সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কিন্তু সমাজের বেধে দেওয়া স্ট্যান্ডার্ড বলে কথা! এবার পালাবি কোথায়? না চাইলেও এই বোঝা বয়ে বেড়াও। তা নাহলে “সম্মান” থাকবে না।

দুঃখজনক হলেও সত্যি, সম্মান আসলেই থাকে না। সম-অধিকারের কথা বলে ফেনা তোলা বুদ্ধিজীবিরা এমনভাবেই আমাদের জীবনের লক্ষ ও উদ্দেশ্যকে মেপে দিয়েছে। এই মাপের চুল পরিমাণ বাইরে গেলেই আমি গোঁড়া, অশিক্ষিত, গোয়ার, মূর্খ, সস্তা হাউজওয়াইফ। আমার চাইতে বাইরে সেজেগুজে কাজ করতে যাওয়া একজন নারীর সম্মান ও মর্যাদা সমাজের চোখে অনেক বেশি। কিন্তু আল্লাহর চোখেও কি তাই? ওয়াল্লাহি, আল্লাহর চোখে যদি তা হতো, তবে কখনোই ঐ চারজন নারী জান্নাতের সর্বোচ্চ আসনের অধিকারী হতেন না।

এবার একটু চিন্তা করে দেখি, কাদের থেকে এই বিকৃত চিন্তার সূচনা?? কারা আমাদেরকে এমন বিকৃত মানসিকতা উপহার(!) দিচ্ছে?

নিঃসন্দেহে ইসলামের বিপরীতে অবস্থিত কিছু মানুষের মগজ থেকে এসবের আগমন। যেই মগজে শয়তান দখল বসিয়ে ভিত্তিহীন কথা বের করে। আমি একবার এখানে এক feminist activist এর সাথে কথা বলেছিলাম। অমুসলিম এক মেয়ে। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমরা অধিকার চাও ঠিক আছে। কার সমান অধিকার চাও? পুরুষের সমান??

হাস্যকর, একজন নারী হয়ে, নারীত্বকে বিলীন করে দিয়ে “পুরুষ জাত”এর সমান হওয়াটাই নাকি আমাদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত!

তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমাদের গন্তব্য কী? ওদের গন্তব্য শেষ পর্যন্ত feminist কাউকে সরকারের উঁচু পদে বসানো। আমি বললাম, তাহলে সেটা কি একজন পুরুষের জন্য unfair হয়ে যায় না? আমরা নিশ্চয়ই জানি, নারী ও পুরুষ এক ধাচে চিন্তাভাবনা বা কাজকর্ম করে না। শারীরিক, মানসিক সবখানেই আমাদের কিছু পার্থক্য স্বাভাবিক ভাবেই আছে। তাহলে একজন ফেমিনিস্ট যখন আইন তৈরি করবে, স্বভাবতই তা হবে নারীদের পক্ষে এবং পুরুষের প্রকৃতি ও স্বভাবের বিপক্ষে। কারণ একজন মানুষের পক্ষে বিপরীত লিঙ্গকে ঠিক বিপরীত লিঙ্গের মত করে বোঝা সম্ভব নয়। ঠিক একই কারণে পুরুষদের তৈরি আইনও নারীদের জন্য যথাযথ হয় না। মেয়েটা একমত হয়েছিল।

কিন্তু তার কাছে কোন সমাধান ছিল না। আল্লাহর পরিচয় নিয়ে গাফেল কারো কাছ থেকে আমি সমাধান পাবার আশাও করি না। কিন্তু সুবহান আল্লাহ! আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম দিয়েছেন। প্রতিটা সমস্যার সমাধান দিয়েছেন। আমাদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট আইন তৈরি করে দিয়েছেন। নারীবাদ বা পুরুষতান্ত্রিক একপেশে আইন নয়, মহান রবের পক্ষ থেকে আগত আইন, যিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা এবং আমাদের সম্পর্কে সর্বাধিক অবগত। এই মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে আমাদের দায়িত্ব শিখিয়ে দিয়েছেন। তাই আল্লাহপ্রদত্ত দায়িত্বগুলো কখনোই আমাদের ওপর জুলুম, অন্যায়, unfair নয়। হতে পারে না। আল্লাহ তা’আলা নারীকে মাতৃত্ব ও স্ত্রীত্বের দায়িত্ব দিয়ে অসম্মানিত বা জুলুম করেন নি, বরং এই সমাজের নিয়মগুলোই জুলুম। আপনি বুঝতে পারছেন না, আপনার কাছে ইসলামের সমাধানটা যুগের অনুপযোগী মনে হচ্ছে, আপনার চিন্তার সীমাবদ্ধতার কারণে। খোলা মনে আলোচনায় বসুন, জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে কথা বলুন, আপনার সংশয়-সন্দেহ দূর হবে ইনশাআল্লাহ।

আমরা আজকে ইসলামের আদর্শ থেকে হয়ত কয়েক আলোকবর্ষ দূরে পড়ে আছি। আমরা পড়াশুনা কমপ্লিট করার জন্য বিয়ের মত প্রয়োজনীয় ইবাদাত পালন করতে দেরী করি, চাকরি করার জন্য জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার করি! সুবহান আল্লাহ! মা হবার মর্যাদাকে আমরা এতো সহজে উপেক্ষা করে ফেলছি। ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে আজ আমরা স্বামীকে সময় দেওয়ার ফুসরত পাই না। হায়! কোথায় মারইয়াম, খাদিজা, ফাতিমা, কোথায় আমরা! অথচ আমরাই “নারীদের পড়াশুনার বিপরীতে” কেউ কিছু বললে ধেয়ে যাই। তাকে পারলে সেখানেই ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলি। তাকে বুঝাতে যাই, খাদিজাও তো ব্যবসা করেছিল, হুম! অথচ আমরা ভুলে যাই, খাদিজা ব্যবসা করার জন্য্যে বাড়ির বাইরে পা রাখেন নি। আমরা মনে রাখতে চাই না, খাদিজা, মারইমায়, আসিয়া, ফাতিমাদের জীবনের অন্যান্য দিকগুলো! আমরা এভাবে ভাবি না যে, উনারা তো সেক্যুলার পড়াশুনাও করেন নি, তবে আমরা কেন ফিতনা মাথায় নিয়েও সেক্যুলার পড়াশোনা ও চাকরি-বাকরি করবো?

এবার একটু চিন্তা করে দেখুন, কেন আমরা “সেক্যুলার শিক্ষা”র বিপরীতে যুক্তি শুনলে এতো খেপা? কেন স্ত্রী হবার কথা, বাচ্চা নেবার কথা আসলেই আমাদের মুখ চুপসে যায়? কেন আল্লাহর দেওয়া নারীদের ঘরের ভেতরে থাকার নির্দেশটা আমাদের চোখে পড়ে না?

এর কারণ আমরা আসলে ইসলামকে দেখি কাফেরদের লেন্স থেকে। তারা যেভাবে দেখাতে চায়, সেভাবে। কাফের ভার্সনের একটা মডারেট ইসলাম তৈরি হয়েছে। সেখানে ইসলামের লেবাস জড়িয়ে জাহেলিয়াত পালন করা যায়। আমরা জেনে না জেনে সেটাই করি। কাফেররা আমাদেরকে ফেমিনিজম শেখাতে চেয়েছে, তারা সফল। আমাদেরকে ক্যারিয়ারিস্ট করতে চেয়েছে, সেখানেও আমরা ধোঁকা খেয়ে বসে আছি।

আজকে সমাজে সম-অধিকারের জয়জয়কার। নারীবাদের দাপটে টেকা দায়! তাই আমি অবশ্যই মনে করি, নারীদের ব্যাপারে ইসলামের সঠিক শিক্ষা, সাহাবীদের ঐতিহ্য ও জান্নাতী রমণীদের জীবন থেকে মানুষকে বোঝানো দরকার খুবই বেশি। এই দায়িত্ব শুধু আলেমদের নয়, এই দায়িত্ব আপনার-আমার-সবার। এই পুরো পোস্টটি লেখার কারণ একজন মাওলানার ভিডিও। যিনি উত্তম ভাষাশৈলী ব্যবহার না করলেও মূলত উপরের বক্তব্যই দিতে চেয়েছেন। এই আলেমকে আমি চিনি না, কোনদিন নামটাও শুনি নি, আর আমি তার অনুসারীও নই। কিন্তু আল্লাহর শপথ, আমি এই আলেমের চাইতে তাদেরকে অনেক বেশি ভয়াবহ ও ইসলামের শত্রু মনে করি, যারা ইসলামের সত্যিকার শিক্ষাকেই বদলে দিচ্ছে। যারা ক্রমাগত কাফেরদের চিন্তাচেতনায় প্রভাবিত হচ্ছে। যারা সমাজের বুদ্ধিজীবিদের এজেন্ডা পালনের জন্যই ইসলামকে ব্যবহার করে চলেছে, জেনে কিংবা না-জেনে।

কই আমরা তো তাদের দিকে তেড়ে যাচ্ছি না। আসলে তারা এতোটাই সূক্ষ্মভাবে আমাদের মন ও মগজকে কব্জা করে ফেলেছে যে, আমরা তাদের চালগুলো ধরতেই পারিনা। কিন্তু প্রভাবিত আমরা নিঃসন্দেহে হয়েছি। আর তাই তো, সেক্যুলার লেখাপড়া বাদ দেবার কথা শুনলে আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়। কিন্তু ঘরে বসে স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার কথায় আমরা ইতস্তত করি। তখন আর একমত হতে পারি না যে ইসলাম নারীদের বাইরে যাওয়া অপছন্দ করে। তখন আমাদের চুলকানি শুরু হয়। বাচ্চা পেছানোর কথা উঠলে আমরা তো নির্বিকার। এগুলো যেন কোন সমস্যাই না! নিকাব পরে অনেকের মুখেই শুনি – তুমি কেন নিকাব পরো, এটা কি ফরয? অথচ সেক্যুলার পড়াশোনা একটা মুবাহ বা ঐচ্ছিক কাজ। সেটা নিয়ে কিন্তু আমাদের মনে এতো প্রশ্ন নেই। আমরা আসলে কোন বিষয়টাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি? আল্লাহর ইবাদত, নাকি সমাজের রীতিনীতি? শেষ পর্যন্ত, আমরা আসলে ঐ ইসলামের নামে দুই নৌকায় পা দিয়েই চলছি। জাহেলিয়াতের বীজ এখনো আমাদের মাথায় গেঁড়ে আছে বলেই ইসলামের শিক্ষা মেনে নিতে আমাদের গা কুটকুট করে।

আল্লাহ আমাদেরকে হিদায়াত দিক! আমাদেরকে জাহেলিয়াত থেকে মুক্তি দিক, আমীন।

আমি নিজে সেক্যুলার এডুকেশন নিয়ে পড়ে আছি। আমি হয়ত স্বামীর মন জয় করতে পারছি না, কিন্তু তারপরেও আজ এই বড় বড় কথাগুলো বললাম। নিজের দুর্বলতার কারণে যেন সত্য প্রকাশে আমরা কুণ্ঠিত না হই। সবার কাছে দু’আ চাই যেন সমাজের বেড়াজাল থেকে নিজের চিন্তাচেতনাকে মুক্ত করতে পারি, যেন ইসলামের আলোয় নিজেকে আলোকিত করতে পারি। আমি একজন বিবাহিত নারী। সুতরাং স্ত্রী এবং মা হিসেবে আমার সাফল্যেই আমার দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্য নিহিত। এই কথাটা আমরা সব মুসলিমাহ যত তাড়াতাড়ি বুঝবো, ততোই মঙ্গল।

সবাই আমার জন্য দু’আ করবেন যেন নেক স্ত্রী ও নেক সন্তানদের মা হতে পারি। জাযাকুমুল্লাহু খাইর।
_
লেখা – Anika Tuba

Share: