সুন্নাত মোতাবেক এবাদত ওয়ার শর্ত

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
Assalamu Alaikum Owarahmatullahi Owabarakatuh

সুন্নাত মোতাবেক এবাদত ওয়ার শর্ত:
1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?1f525?

পর্ব-১

কোনো এবাদত ততক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত মোতাবেক হবেনা, যতক্ষণ না তাতে ছয়টি বিষয় পাওয়া যাবে।

1f496?(১) কারণঃ কেউ যদি এমন কোনো কারণে এবাদত করে, যেই কারণে এবাদতটি করার কথা শরীয়তে বর্ণিত হয়নি, তাহলে সেটি বিদআত হিসাবে গণ্য হবে। যেমন রবীউল আওয়াল মাসের ১২ তারীখে নবীজি জন্ম গ্রহণ করেছেন এই ধারণার কারণে ঈদে মীলাদুন নবী পালন করা, রজব মাসের ২৭তারিখে নবীজির মিরাজ হয়েছে এই ধারণার কারণে সারা রাত নামায পড়া, অর্ধশাবানের রাতে ভাগ্য বণ্টন করা হয় মনে করে তাতে সারা রাত নামায পড়া বিদআত। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মের কারণে ঈদে মীলাদুন নবী উদযাপন করা, মিরাজ উপলক্ষে নামায পড়া এবং অর্ধশাবান দিবাগত রাতে নামায পড়া শরীয়ত সম্মত নয়। অথচ নামায পড়া গুরুত্বপূর্ণ একটি এবাদত। কিন্তু যখন তার সাথে এমন কারণ যুক্ত করা হবে, যা শরীয়ত দ্বারা সাব্যস্ত নয়, তখন উহা বিদআত হিসাবে গণ্য হবে। কিন্তু মসজিদে প্রবেশ করার কারণে তাহিয়াতুল মসজিদ নামে দুই রাকআত নামায পড়া সুন্নাত।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন إذا دخل أحدكم المسجد ، فلا يجلس حتى يركع ركعتين

1f49c?(২) শ্রেণী বা প্রকারঃ যেই প্রকারের এবাদত যেই শ্রেণীর জিনিষ দ্বারা করার হুকুম হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, উহা সেই শ্রেণীর জিনিষ দ্বারাই করতে হবে। অন্যথায় বিদআত বলে গণ্য হবে। যেমন কেউ ঘোড়া কোরবানী করলো কিংবা হরিন কোরবানী করলো। এগুলো দ্বারা কোরবানী করা হলে সেটি এবাদত হিসাবে গণ্য হবেনা। কারণ কুরআন ও হাদীছ দ্বারা উট, গরু এবং দুম্বা-ছাগল দিয়ে কোরবানী করার কথা বর্ণিত হয়েছে। এ জন্যই আলেমগণ বলেছেন, খাদ্য-দ্রব্যের পরিবর্তে টাকা দিয়ে ফিতরা দিলে, তা বৈধ হবেনা। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে মুদ্রার লেন-দেন থাকা সত্ত্বেও তিনি উহা দ্বারা ফিতরা প্রদান করার আদেশ করেন নি।

ইবনে উমার (রাঃ)এর হাদীছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

فرض رسول الله صلى الله عليه وسلم زكاة الفطر صاعاً من تمر أو صاعاً من شعير، على الذكر والأنثى والصغير والكبير والحر والعبد من المسلمين، وأمر أن تؤدى قبل خروج الناس للصلاة” متفق عليه

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক স্বাধীন-ক্রতদাস, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় মুসলমানের যাকাতুল ফিতর ফরজ করেছেন এক ‘সা’ পরিমাণ খেজুর বা যব ফরজ করেছেন। তিনি লোকদের ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।1f4da? (বুখারী ও মুসলিম)

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বলেনঃ

كُنَّا نُخْرِجُ فِى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم – يَوْمَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ . وَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ وَكَانَ طَعَامَنَا الشَّعِيرُ وَالزَّبِيبُ وَالأَقِطُ وَالتَّمْرُ
আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর যুগে ঈদের দিন এক ‘সা’ পরিমাণ খাদ্য সাদাকাতুল ফিতর হিসেবে আদায় করতাম। সে যুগে আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিসমিস, পনির এবং খেজুর। 1f4da?(বুখারী) (চলবে)

আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী

 

Share: