অমুসলিমদের জন্য বার্তা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। 

প্রিয় পাঠক,

এই বার্তার লক্ষ্য আপনাকে পৃথিবীতে আমাদের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার জন্য আহবান জানানো এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনে আপনার অবস্থা সম্পর্কে আপনাকে জ্ঞ্যাত করা। আপনি জান্নাত(স্বর্গ)অথবা জাহান্নাম(নরক) কোনটি লাভ করবেন? দয়া করে খেয়াল করুন, আপনি যখন এই বার্তাটি পড়া শেষ করবেন, আপনাকে এমন একজন ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হবে যার নিকট ইসলামের বার্তা পৌঁছান হয়েছে, সুতরাং পরকালে সৃষ্টিকর্তার নিকট এই মর্মে কোন অজুহাত পেশ করতে পারবেন না যে আপনি জানতেন না।

লক্ষ্য করুন, সর্বশক্তিমান আল্লাহই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা এবং উপাসনার যোগ্য। তিনি ব্যতিত আর কোন উপাস্য নেই। তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি এবং তিনি কাউকে জন্মও দেননি।

আল্লাহ বলেন, “বলুন,তিনি আল্লাহ,এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।”(সুরাঃ ১১২,আয়াতঃ ১-৪)

আল্লাহ বলেন, “তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।”(সুরাঃ ৪২,আয়াতঃ ১১)

জেনে রাখুন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টির স্রষ্টা। তিনি ব্যতিত আর কোন স্রষ্টা এবং নিয়ন্ত্রণকারী নেই।

আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ সবকিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সবকিছুর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।”(সুরাঃ৩৯,আয়াতঃ৬২)

আল্লাহ বলেন, “তিনি আল্লাহ,তোমাদের পালনকর্তা,সব কিছুর স্রষ্টা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছ?”(সুরাঃ৪০,আয়াতঃ৬২)

আল্লাহ বলেন, “আর যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে সে সবই আল্লাহর এবং আল্লাহর প্রতিই সব কিছু প্রত্যাবর্তনশীল।”(সুরাঃ৩,আয়াতঃ১০৯)

জেনে রাখুন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য।

আল্লাহ বলেন, “আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।”(সুরাঃ৫১,আয়াতঃ৫৬)

আল্লাহ বলেন, “তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে,নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।”(সুরাঃ৯৮,আয়াতঃ৫)

বোঝার চেষ্টা করুন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ব্যতিত ইহজগতের কোন সৃষ্টির উপাসনা করা যাবেনা সেটা যাই হোক বা যে-ই হোক।

আল্লাহ বলেন, “তারা কাফের, যারা বলে যে, মরিময়-তনয় মসীহ-ই আল্লাহ; অথচ মসীহ বলেন, হে বণী-ইসরাঈল,তোমরা আল্লাহর এবাদত কর, যিনি আমার পালন কর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা। নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন। এবং তার বাসস্থান হয় জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।”(সুরাঃ৫,আয়াতঃ৭২)

আল্লাহ বলেন, “বলুনঃ আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।”(সুরাঃ৭২,আয়াতঃ২০)

আল্লাহ বলেন, “বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ,আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে,তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব,যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে,সে যেন,সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।”(সুরাঃ১৮,আয়াতঃ১১০)

আল্লাহ বলেন, “এবং যাদেরকে আমি গ্রন্থ দিয়েছি,তারা আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে,তজ্জন্যে আনন্দিত হয় এবং কোন কোন দল এর কোন কোন বিষয় অস্বীকার করে। বলুন,আমাকে এরূপ আদেশই দেয়া হয়েছে যে,আমি আল্লাহর এবাদত করি। এবং তাঁর সাথে অংশীদার না করি। আমি তাঁর দিকেই দাওয়াত দেই এবং তাঁর কাছেই আমার প্রত্যাবর্তন।”(সুরাঃ১৩,আয়াতঃ৩৬)

জেনে রাখুন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি অন্য কারও ইবাদত করে, সে আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে বা অন্য কাউকে শরীক করে যার ফলে তাঁর সমস্ত ভাল কাজ বর্বাদ হয়ে যায় এবং সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়।

আল্লাহ বলেন, “এটি আল্লাহর হেদায়েত। স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা,এপথে চালান। যদি তারা শেরেকী করত, তবে তাদের কাজ কর্ম তাদের জন্যে ব্যর্থ হয়ে যেত।”(সুরাঃ৬,আয়াতঃ৮৮)

লক্ষ্য করুন, আল্লাহ সমস্ত নবী-রাসুলদের প্রেরণ করেছেন মানুষকে এটা স্বরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যে, আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন ইলাহ(উপাস্য) নেই। তিনিই একমাত্র ইবাদতের যোগ্য।

আল্লাহ বলেন, “আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে।”(সুরাঃ১৬,আয়াতঃ৩৬)

আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় আমি নূহকে তার সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠিয়েছি। সে বললঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন উপাস্য নেই। আমি তোমাদের জন্যে একটি মহাদিবসের শাস্তির আশঙ্কা করি।”(সুরাঃ৭,আয়াতঃ৫৯)

জেনে রাখুন,প্রত্যেক নবী ও রাসুলের প্রতি স্বীকৃতি দেওয়া আবশ্যক। যদি কেউ একজন নবী কিংবা রাসুলকেও অবিশ্বাস করে তাহলে সে আল্লাহ ও তাঁর সমস্ত নবী-রাসুলদের অবিশ্বাস করল।

আল্লাহ বলেন, “রাসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি,তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি,তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে,আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই,হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।”(সুরাঃ২,আয়াতঃ১৮৫)

আল্লাহ বলেন, “আমরা ওহী লাভ করেছি যে,যে ব্যক্তি মিথ্যারোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়,তার উপর আযাব পড়বে।”(সুরাঃ২০,আয়াতঃ৪৮)

আল্লাহ বলেন, “যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা কথা গড়ে অথবা তার কাছে সত্য আসার পর তাকে অস্বীকার করে,তার কি স্মরণ রাখা উচিত নয় যে,জাহান্নামই সেসব কাফেরের আশ্রয়স্থল হবে?”(সুরাঃ২৯,আয়াতঃ৬৮)

আল্লাহ বলেন, “যারা কিতাবের প্রতি এবং যে বিষয় দিয়ে আমি পয়গম্বরগণকে প্রেরণ করেছি,সে বিষয়ের প্রতি মিথ্যারোপ করে। অতএব,সত্বরই তারা জানতে পারবে।”(সুরাঃ৪০,আয়াতঃ৭০)

জেনে রাখুন, মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসুল যাকে আল্লাহ প্রেরণ করেছিলেন সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসাবে। তিনি ছিলেন জান্নাত(স্বর্গ) এবং জাহান্নাম(নরক) এর বার্তাবাহক। তিনিই সর্বশেষ রাসুল। তার পরে আর কোন রাসুল আসবেন না।

আল্লাহ বলেন, “আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন,তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে?বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে,তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ,আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন।”(সুরাঃ৩,আয়াতঃ১৪৪)

আল্লাহ বলেন, “সেসমস্ত লোক,যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের,যিনি উম্মী নবী,যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়,তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের,বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে;তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।”(সুরাঃ৭,আয়াতঃ১৫৭)

আল্লাহ বলেন, “বলে দাও,হে মানব মন্ডলী। তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল,সমগ্র আসমান ও যমীনে তার রাজত্ব। একমাত্র তাঁকে ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর উপর,যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহর এবং তাঁর সমস্ত কালামের উপর। তাঁর অনুসরণ কর যাতে সরল পথপ্রাপ্ত হতে পার।”(সুরাঃ৭,আয়াতঃ১৫৮)

আল্লাহ বলেন, “তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী,মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল,দয়াময়।”(সুরাঃ৯,আয়াতঃ১২৮)

আল্লাহ বলেন, “মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।”(সুরাঃ৩৩,আয়াতঃ৪০)

আল্লাহ বলেন, “স্মরণ কর,যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা (আঃ) বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা,যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল,তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু।”(সুরাঃ৬১,আয়াতঃ৬)

জেনে রাখুন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ, মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট প্রেরণ করেছেন পবিত্র কোরআন যা হল মহান আল্লাহর বাণী এবং যা সঠিক পথের দিশারী।

আল্লাহ বলেন, “রমযান মাসই হল সে মাস,যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন,যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান;তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর,যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।”(সুরাঃ২,আয়াতঃ১৮৫)

আল্লাহ বলেন, “আপনি জিজ্ঞেস করুনঃ সর্ববৃহৎ সাক্ষ্যদাতা কে ? বলে দিনঃ আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। আমার প্রতি এ কোরআন অবর্তীর্ণ হয়েছে-যাতে আমি তোমাদেরকে এবং যাদের কাছে এ কোরআন পৌঁছে সবাইকে ভীতি প্রদর্শন করি। তোমরা কি সাক্ষ্য দাও যে,আল্লাহর সাথে অন্যান্য উপাস্যও রয়েছে ?আপনি বলে দিনঃ আমি এরূপ সাক্ষ্য দেব না। বলে দিনঃ তিনিই একমাত্র উপাস্য;আমি অবশ্যই তোমাদের শিরক থেকে মুক্ত।”(সুরাঃ৬,আয়াতঃ১৯)

আল্লাহ বলেন, “আর যারা পরকাল কামনা করে এবং মুমিন অবস্থায় তার জন্য যথাযথ চেষ্টা-সাধনা করে,এমন লোকদের চেষ্টা স্বীকৃত হয়ে থাকে।”(সুরাঃ১৭,আয়াতঃ৯)

আল্লাহ বলেন, “আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়।”(সুরাঃ১৭,আয়াতঃ৮২)

আল্লাহ বলেন, “এবং আপনাকে কোরআন প্রদত্ত হচ্ছে প্রজ্ঞাময়,জ্ঞানময় আল্লাহর কাছ থেকে।”(সুরাঃ২৭,আয়াতঃ৬)

আল্লাহ বলেন, “আমি এই কোরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকার দ্বারা সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার না করে থাকেনি।”(সুরাঃ১৭,আয়াতঃ৮৯)

লক্ষ্য করুন, আল-কুরআন সর্বকালের সেরা বিস্ময়। এটি সমগ্র মানবজাতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে এর সমতুল্য একটি সুরা রচনা করার জন্য।

আল্লাহ বলেন, “বলুনঃ যদি মানব ও জ্বিন এই কোরআনের অনুরূপ রচনা করে আনয়নের জন্যে জড়ো হয়,এবং তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়;তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না।”(সুরাঃ১৭,আয়াতঃ৮৮)

আল্লাহ বলেন, “এতদসম্পর্কে যদি তোমাদের কোন সন্দেহ থাকে যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি,তাহলে এর মত একটি সূরা রচনা করে নিয়ে এস। তোমাদের সেসব সাহায্যকারীদেরকে সঙ্গে নাও-এক আল্লাহকে ছাড়া,যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।”(সুরাঃ২,আয়াতঃ২৩)

জেনে রাখুন, আল্লাহ সমগ্র মানবজাতিকে(বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে)আদেশ করেছেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর বিশ্বাস আনার জন্য, রাসুলকে অনুসরণের জন্য, যে তা করবে সে ই সঠিক পথে থাকবে। আর যে তা করবে না সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আল্লাহ বলেন, “বলুন,আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে,তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।”(সুরাঃ৩,আয়াতঃ৩২)

আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ,আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না।”(সুরাঃ৮,আয়াতঃ২০)

আল্লাহ বলেন, “যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল,আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ),তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।”(সুরাঃ৪,আয়াতঃ৮০)

আল্লাহ বলেন, “বলুন,যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস,তাহলে আমাকে অনুসরণ কর,যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেনক্ষমাকারী,দয়ালু।”(সুরাঃ৩,আয়াতঃ৩১)

লক্ষ্য করুন, যে ব্যক্তি জানতে পারল যে মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসুল অথচ তাকে বিশ্বাস করল না এবং তাঁর অনুসারী হল না, সত্যকে অস্বীকার করল,সে আল্লাহকে অস্বীকারকারী(কাফির),সে বিচার দিবসে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।

আল্লাহ বলেন, “আমার জানা আছে যে,তাদের উক্তি আপনাকে দুঃখিত করে। অতএব,তারা আপনাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে না,বরং জালেমরা আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে।”(সুরাঃ৬,আয়াতঃ৩৩)

আল্লাহ বলেন, “সেদিন কামনা করবে সে সমস্ত লোক,যারা কাফের হয়েছিল এবং রসূলের নাফরমানী করেছিল,যেন যমীনের সাথে মিশে যায়। কিন্তু গোপন করতে পারবে না আল্লাহর নিকট কোন বিষয়।”(সুরাঃ৪,আয়াতঃ৪২)

আল্লাহ বলেন, “যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে,তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে,আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।”(সুরাঃ৪,আয়াতঃ১১৫)

মহানবী মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বলেছেন, “সেই স্বত্তার কসম যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, যে কেউ, হোক সে ইহুদি অথবা খ্রিষ্টান, আমার সম্পর্কে শুনে থাকে এবং আমার বয়ে আনা বার্তার প্রতি বিশ্বাস ছাড়াই মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে অবশ্যই জাহান্নামীদের(নরকবাসী) একজন হবে।”(মুসলিম)

জেনে রাখুন, আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য একমাত্র ধর্ম হল ইসলাম। এটিই ছিল সকল নবী-রাসুলদের ধর্ম।

আল্লাহ বলেন, “এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে,হে আমার সন্তানগণ,নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।”(সুরাঃ২,আয়াতঃ১৩২)

আল্লাহ বলেন, “নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে,শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ,যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে,নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।”(সুরাঃ৩,আয়াতঃ১৯)

আল্লাহ বলেন, “যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।”(সুরাঃ৩,আয়াতঃ৮৫)

জেনে রাখুন, মৃত্যুর পরবর্তি পুনরুত্থান বেশি দূরে নয় এবং তা চরম সত্য। ইহা অতি নিকটবর্তী

আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত,যারা আল্লাহর সাক্ষাৎকে মিথ্যা মনে করেছে। এমনকি,যখন কিয়ামত তাদের কাছে অকস্মাৎ এসে যাবে, তারা বলবেঃ হায় আফসোস,এর ব্যাপারে আমরা কতই না ক্রটি করেছি। তার স্বীয় বোঝা স্বীয় পৃষ্ঠে বহন করবে। শুনে রাখ,তারা যে বোঝা বহন করবে,তা নিকৃষ্টতর বোঝা।”(সুরাঃ৬,আয়াতঃ৩১)

আল্লাহ বলেন, “কেয়ামত অবশ্যই আসবে,আমি তা গোপন রাখতে চাই;যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করে।”(সুরাঃ২০,আয়াতঃ১৫)

আল্লাহ বলেন, “এবং এ কারণে যে,কেয়ামত অবশ্যম্ভাবী,এতে সন্দেহ নেই এবং এ কারণে যে,কবরে যারা আছে,আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।”(সুরাঃ২২,আয়াতঃ৭)

আল্লাহ বলেন, “কাফেররা বলে আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না। বলুন কেন আসবে না? আমার পালনকর্তার শপথ-অবশ্যই আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডলে ও ভূ-মন্ডলে তাঁর আগোচরে নয় অণু পরিমাণ কিছু,না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ-সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।”(সুরাঃ৩৪,আয়াতঃ৩)

আল্লাহ বলেন, “কেয়ামত অবশ্যই আসবে,এতে সন্দেহ নেই;কিন্ত অধিকাংশ লোক বিশ্বাস স্থাপন করে না।”(সুরাঃ৪০,আয়াতঃ৫৯)

আল্লাহ বলেন, “অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা পুনরুত্থিত হবে।”(সুরাঃ২৩,আয়াতঃ১৬)

আল্লাহ বলেন, “আর কিই বা ক্ষতি হত তাদের যদি তারা ঈমান আনত আল্লাহর উপর কেয়ামত দিবসের উপর এবং যদি ব্যয় করত আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক থেকে! অথচ আল্লাহ,তাদের ব্যাপারে যথার্থভাবেই অবগত।”(সুরাঃ৪,আয়াতঃ৩৯)

আল্লাহ বলেন, “অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা দেখতে পাবে,এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।”(সুরাঃ৯৯,আয়াতঃ৭-৮)

জেনে রাখুন, জান্নাত(স্বর্গ)এবং এর নিয়ামত চরম সত্য। জান্নাতে এমন কিছু আছে জা কেউ কখনো দেখেনি,শুনেনি। জান্নাত চরম সুখময় স্থান যা প্রস্তুত করা হয়েছে আল্লাহর অনুসারী মু’মিন বান্দাদের জন্য, সেস্খানে তারা চিরকাল থাকবে।

আল্লাহ বলেন, “পরহেযগারদের জন্যে প্রতিশ্রুত জান্নাতের অবস্থা এই যে,তার নিম্নে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হয়। তার ফলসমূহ চিরস্থায়ী এবং ছায়াও। এটা তাদের প্রতিদান,যারা সাবধান হয়েছে এবং কাফেরদের প্রতিফল অগ্নি।”(সুরাঃ১৩,আয়াতঃ৩৫)

আল্লাহ বলেন, “আর হে নবী (সাঃ),যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজসমূহ করেছে,আপনি তাদেরকে এমন বেহেশতের সুসংবাদ দিন,যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে,তখনই তারা বলবে, এতো অবিকল সে ফলই যা আমরা ইতিপূর্বেও লাভ করেছিলাম। বস্তুতঃ তাদেরকে একই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। এবং সেখানে তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকূল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে।”(সুরাঃ২,আয়াতঃ২৫)

আল্লাহ বলেন, “যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে,আমি অবশ্যই তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ প্রাসাদে স্থান দেব,যার তলদেশে প্রস্রবণসমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। কত উত্তম পুরস্কার কর্মীদের।”(সুরাঃ২৯,আয়াতঃ৫৮)

আল্লাহ বলেন, “এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে। ”(সুরাঃ৩৬,আয়াতঃ৫৫)

আল্লাহ বলেন, “পরহেযগারদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তার অবস্থা নিম্নরূপঃ তাতে আছে পানির নহর,নির্মল দুধের নহর যারা স্বাদ অপরিবর্তনীয়,পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু শরাবের নহর এবং পরিশোধিত মধুর নহর। তথায় তাদের জন্যে আছে রকমারি ফল-মূল ও তাদের পালনকর্তার ক্ষমা। পরহেযগাররা কি তাদের সমান,যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে এবং যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি অতঃপর তা তাদের নাড়িভূঁড়ি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে?”(সুরাঃ৪৭,আয়াতঃ১৫)

আল্লাহ বলেন, “তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন,যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য।”(সুরাঃ৩,আয়াতঃ১৩৩)

আল্লাহ বলেন, “তোমরা অগ্রে ধাবিত হও তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে,যা আকাশ ও পৃথিবীর মত প্রশস্ত। এটা প্রস্তুত করা হয়েছে আল্লাহ ও তাঁর রসূলগণের প্রতি বিশ্বাসস্থাপনকারীদের জন্যে। এটা আল্লাহর কৃপা,তিনি যাকে ইচ্ছা,এটা দান করেন। আল্লাহ মহান কৃপার অধিকারী।”(সুরাঃ৫৭,আয়াতঃ২১)

জেনে রাখুন, জাহান্নাম(নরক)চরম সত্য। এর আযাব ভয়াবহ এবং অসহনীয়। জাহান্নাম এমন এক জায়গা যা কেউ কখন দেখেনি। এটা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান যা প্রস্তুত করা হয়েছে আল্লাহ অস্বীকারকারীদের জন্য এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করে(যেমনঃ খ্রিষ্টানরা ঈসা[আঃ]কে করে, হিন্দুরা বিভিন্ন দেবদেবীর পুজা করে)।

আল্লাহ বলেন, “তারা কি একথা জেনে নেয়নি যে,আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে যে মোকাবেলা করে তার জন্যে নির্ধারিত রয়েছে দোযখ;তাতে সব সময় থাকবে। এটিই হল মহা-অপমান।”(সুরাঃ৯,আয়াতঃ৬৩)

আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন,সেই তো সঠিক পথ প্রাপ্ত এবং যাকে পথ ভ্রষ্ট করেন, তাদের জন্যে আপনি আল্লাহ ছাড়া কোন সাহায্যকারী পাবেন না। আমি কেয়ামতের দিন তাদের সমবেত করব তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায়, অন্ধ অবস্থায়, মুক অবস্থায় এবং বধির অবস্থায়। তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম। যখনই নির্বাপিত হওয়ার উপক্রম হবে আমি তখন তাদের জন্যে অগ্নি আরও বৃদ্ধি করে দিব।”(সুরাঃ১৭,আয়াতঃ৯৭)

আল্লাহ বলেন, “এবং অপরাধীদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাব।”(সুরাঃ১৯,আয়াতঃ৮৬)

আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই যে তার পালনকর্তার কাছে অপরাধী হয়ে আসে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবে না এবং বাঁচবেও না।”(সুরাঃ২০,আয়াতঃ৭৪)

আল্লাহ বলেন, “আর যারা কাফের হয়েছে,তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদেরকে মৃত্যুর আদেশও দেয়া হবে না যে,তারা মরে যাবে এবং তাদের থেকে তার শাস্তিও লাঘব করা হবে না। আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি।”(সুরাঃ৩৫,আয়াতঃ৩৬)

আল্লাহ বলেন, “কাফেরদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। তারা যখন সেখানে পৌছাবে,তখন তার দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে এবং জাহান্নামের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে,তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে পয়গম্বর আসেনি,যারা তোমাদের কাছে তোমাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করত এবং সতর্ক করত এ দিনের সাক্ষাতের ব্যাপারে? তারা বলবে,হ্যাঁ,কিন্তু কাফেরদের প্রতি শাস্তির হুকুমই বাস্তবায়িত হয়েছে।”(সুরাঃ৩৯,আয়াতঃ৭১)

লক্ষ্য করুন, আপনি যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের[মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)]উপর বিশ্বাস এনে ইসলাম গ্রহণ করে মৃত্যুবরণ করেন তাহলে আপনি জাহান্নাম হতে রক্ষা পাবেন এবং জান্নাতবাসী হবেন এবং সেখানে চিরকাল থাকবেন।

আল্লাহ বলেন, “আর যারা তাঁর কাছে আসে এমন ঈমানদার হয়ে যায় সৎকর্ম সম্পাদন করেছে,তাদের জন্যে রয়েছে সুউচ্চ মর্তবা।”(সুরাঃ২০,আয়াতঃ৭৫)

অপরদিকে, আপনি যদি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে থাকেন(আল্লাহর পাশাপাশি অন্য কাউকে ইবাদত করে থাকেন),তাঁকে অস্বীকার করে থাকেন,সত্যকে অস্বীকার করেন, তাহলে আপনি জাহান্নামীদের(নরক)অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং সেখানে চিরকাল আগুনে পুড়তে হবে।

আল্লাহ বলেন, “এবং যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে,তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।”(সুরাঃ২০,আয়াতঃ১২৪)

আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তিকে তার পালনকর্তার আয়াতসমূহ দ্বারা উপদেশ দান করা হয়,অতঃপর সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়,তার চেয়ে যালেম আর কে? আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব।”(সুরাঃ৩২,আয়াতঃ২২)

আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই যে তার পালনকর্তার কাছে অপরাধী হয়ে আসে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবে না এবং বাঁচবেও না।”(সুরাঃ২০,আয়াতঃ৭৪)

আল্লাহ বলেন, “…তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে,দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।”(সুরাঃ২,আয়াতঃ২১৭)

জেনে রাখুন, ধর্মে কোন বাড়াবাড়ি নেই। সঠিক পথ ও ভুল পথ দুটোই স্পষ্ট। সুতরাং, উপরের বার্তাটি পড়ার পর,চিন্তা-ভাবনা করার পর যদি সত্য অস্বীকার করেন,তাহলে আল্লাহর কাছে অজুহাত পেশ করতে পারবেন না। যেহেতু সকল নবী-রাসুলদের বার্তা আপনার নিকট আল-কুরআনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে,কাজেই বিচার দিবসে আপনাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে। বিচার দিবসে কোন টাকা-পয়সা,সন্তান-সন্ততি কাজে আসবেনা,বরং যারা মুসলিম হয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে আল্লাহর সামনে সেদিন হাজির হবে,তারাই বিজয়ী হবে।

সবশেষে একটি কথা লক্ষ্য রাখবেন, শয়তান এবং যারা ইসলামবিরোধী কাজে নিয়োজিত তারা আপনাকে সর্বদা এই মহান সত্য বার্তা হতে বিমুখ করে রাখবে।

আমরা মহান আল্লাহর নিকট দুয়া করি যাতে তিনি আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন,আপনাকে সঠিক রাস্তা দেখান। আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা যিনি সমগ্র বিশ্বজগতের প্রভু,পালনকর্তা। তারই নিকট আমাদের সকলের প্রত্তাবর্তন