ইসলামের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পারিভাষিক শব্দ বা দোয়ার যথোপযুক্ত ব্যবহার

ইসলামের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পারিভাষিক শব্দ বা দোয়ার যথোপযুক্ত ব্যবহারﺍﻥ ﺷﺎﺀﺍﻟﻠﻪ
★ইন শা আল্লাহ (In Shaa Allah):
অর্থঃ ‘ইন শা আল্লাহ’ শব্দের অর্থ, মহান
আল্লাহ যদি চান তাহলে। কখন বলতে হয়ঃ
• ভবিষ্যতের হবে,• করবো বা ঘটবে, ইত্যাদি ক্ষেত্রে এমন কোন বিষয়ে ‘ইন শা আল্লাহ’ বলা সুন্নাত। যেমনঃ ‘ইন শা আল্লাহ’ আমি আগামীকাল আপনার
কাজটি করে দিবো। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ মুমিনদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।
★সুবহান আল্লাহ (Subhan Allah):
অর্থঃ ‘সুবহান আল্লাহ’ এর অর্থ, সকল
পবিত্রতা আল্লাহর । কখন বলতে হয়ঃ • আল্লাহর মহিমা শুনে, • সুন্দর ফল ও ফুল দেখে, • দৃষ্টিপাত বৈধ এমন সুন্দর জিনিসদেখে, • ভাল কথা শ্রবন করে,
• আশ্চার্যজনক কোন কথা শুনে বা ভালো কোন কাজ হতে দেখলে, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বলতে হয় ‘সুবহান
আল্লাহ’। যেমনঃ ‘সুবহান আল্লাহ’! আগুনে পুরো
ঘর পুরে গেলেও কুরআন শরীফ অক্ষত
আছে।
ﺍﻟﺤﻤﺪﻟﻠﻪ
★আলহামদুলিল্লাহ (Alhamdulillah):
অর্থঃ ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এর অর্থ, সকল মহান প্রশংসা আল্লাহর জন্য। কখন বলতে হয়ঃ • কেউ অবস্থাদি জিজ্ঞেস করলে, • পরীক্ষা ভাল হলে, • কোন কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ হলে, • আহার ও পান শেষ হলে,
• কোন সুসংবাদ শুনে, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বলতে হয়
‘আলহামদুলিল্লাহ’। যেমনঃ ভাই আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলা উচিত, ‘আলহামদুলিল্লাহ’,
ভালো আছি।
ﻣــــــﺎﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ
★মাশা আল্লাহ (Masha Allah):
অর্থঃ ‘মাশা আল্লাহ’ শব্দের অর্থ,
আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। কখন বলতে হয়ঃ
• কেউ পরীক্ষায় ভাল করেছে শুনলে,
• যেকোন সুসংবাদ শুনলে,
• কেউ ভাল কাজ করেছে শুনলে,
ইত্যাদি ক্ষেত্রে বলতে হয় ‘মাশা
আল্লাহ’। এটি ‘আলহামদুলিল্লাহ’ শব্দের মতোই
ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, যে কোনো
সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটি বলা
হয়। যেমনঃ ‘মাশা আল্লাহ’ তুমি তো
অনেকবড় হয়ে গেছো।
ﻧﻌﻮﺫﺑﺎﻟﻠﻪ
★নাউযুবিল্লাহ (Nauzubillah):
অর্থঃ ‘নাউযুবিল্লাহ’ শব্দের অর্থ,
আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে
আশ্রয় চাই।
কখন বলতে হয়ঃ
• যেকোনো মন্দ কাজ দেখলে,
• যেকোনো গুনাহের কাজ দেখলে,
ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার থেকে
নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এটি বলা
হয়ে থাকে।
ﺍﺳﺘﻐﻔﺮ ﺍﻟﻠّٰﻪ
★আসতাগফিরুল্লাহ (Astaghfirullah):
অর্থঃ ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ শব্দের অর্থ
আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
কখন বলতে হয়ঃ
• অনাকাঙ্খিত কোন অন্যায় করলে,
• অনাকাঙ্খিত কোন গুনাহ হয়ে গেলে,
ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার থেকে
নিজেকে আত্মরক্ষার্থে আমরা এটি
বলবো।
ﺍﻧﺎ ﻟﻠﻪ ﻭﺍﻧﺎ ﺇﻟﻴﻪ ﺭﺍﺟﻌﻮﻥ
★ইন্নালিল্লাহ বা ইন্নালিল্লাহি
ওয়া ইন্নাইলাইহি রা-জিউনঃ
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমরা মহান আল্লাহর
জন্য এবং আমরা তার দিকেই ফিরে
যাবো।
কখন বলতে হয়ঃ
• যে কোনো দু:সংবাদ,
• বিপদের সময়,
ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা এটি বলবো।
ﻻﺣﻮﻝ ﻭﻻﻗﻮﺓ ﺍﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ
★লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা
বিল্লাহঃ
অর্থঃ মহান আল্লাহর সাহায্যও
সহায়তা ছাড়া আর কোন আশ্রয় ও
সাহায্য নেই।
কখন বলতে হয়ঃ
• শয়তানের কোন ওয়াসওয়াসাবা
দূরভিসন্ধিমূলক কোন প্রতারণা থেকে
বাঁচার জন্য এটি পড়া উচিত।
ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ
★আস সালামু আলাইকুম (As Salamu Alaikum):
অর্থঃ আপনার উপর মহান আল্লাহর
শান্তি বর্ষিত হোক।
কখন বলতে হয়ঃ
• কারো সাথে দেখা হলে- হাই,
হ্যালো না বলে বলুন- ‘আস সালামু
আলাইকুম’।
ﺟﺰﺍﻙ ﺍﻟﻠّٰﻪ ﺧﻴﺮﺍ
★জাযাক আল্লাহু খায়রান (Jazak Allahu
Khayran):
অর্থঃ মহান আল্লাহ আপনাকে
সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।
কখন বলতে হয়ঃ
• কেউ আপনার কোন উপকার করলে-
তাকে থ্যাংক ইউ না বলে বলুন-
‘‘জাযাক আল্লাহু খায়রান’।
বিঃদ্রঃ কখনো ‘খোদা হাফেজ’
বলবেন না।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আলোকে নয়
আসুন আমরা কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত
পথেই জিবনকে গঠন করি।

{{{সৌজন্যেঃ– দ্বীনি বোন রেহানা আক্তার}}}