ফিতনা সাধারণত পূর্ব দিক থেকেই আসে এবং ভবিষ্যতেও সকল ফিতনা সে দিক থেকেই আসবে

ফিতনা সাধারণত পূর্ব দিক থেকেই আসে এবং ভবিষ্যতেও সকল ফিতনা সে দিক থেকেই আসবেঃ

ইতিপূর্বে যত ফিতনা মুসলিম সমাজে দেখা দিয়েছে তা পূর্ব দিক থেকেই জন্ম নিয়েছে। সে দিক থেকেই শয়তানের চেলা-চামুণ্ডাদের আবির্ভাব।

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সাঃ) একদা পূর্ব দিকে ফিরে বলেনঃ
أَلاَ إِنَّ الْفِتْنَةَ هَاهُنَا ، أَلاَ إِنَّ الْفِتْنَةَ هَاهُنَا ، مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: رَأْسُ الْكُفْرِ مِنْ هَا هُنَا ، مِنْ حَيْثُ يَطْلُعُ قَرْنُ الشَّيْطَانِ يَعْنِيْ الْمَشْرِقَ
অর্থাৎ জেনে রাখো, ফিতনা এ দিক থেকেই আসবে। ফিতনা এ দিক থেকেই আসবে। যে দিক থেকে শয়তানের চেলা-চামুণ্ডারা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, কুফরির হোতারা এ দিক থেকেই জন্ম নিবে। যে দিক থেকে শয়তানের চেলা-চামুণ্ডারা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠবে। অর্থাৎ পূর্ব দিক থেকে। (বুখারী, হাদীস ৩৫১১ মুসলিম, হাদীস ২৯০৫)

আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (সাঃ) একদা নিম্নোক্ত দো’আ করেনঃ
اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْ صَاعِنَا وَمُدِّنَا ، وَبَارِكْ لَنَا فِيْ شَامِنَا وَيَمَنِنَا ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: يَا نَبِيَّ اللهِ! وَفِيْ عِرَاقِنَا ، قَالَ: إِنَّ بِهَا قَرْنَ الشَّيْطَانِ ، وَتَهِيْجُ الْفِتَنُ ، وَإِنَّ الْجَفَاءَ بِالْمَشْرِقِ
অর্থাৎ হে আল্লাহ্ আপনি বরকত দিন আমাদের সা’ ও মুদে এবং বরকত দিন আমাদের শাম ও ইয়েমেনে। জনৈক ব্যক্তি বললেনঃ হে আল্লাহ্’র নবী! আপনি বলুনঃ এবং বরকত দিন আমাদের ইরাকে। তখন রাসূল (সাঃ) বলেনঃ সেখানে শয়তানের চেলা-চামুণ্ডারা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠবে এবং ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি পূর্ব এলাকায়ই পারস্পরিক সকল সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। কঠোরতা দেখা দিবে।
(মুখ্তাস্বারুত্ তারগীবি ওয়াত্-তারহীব ৮৭)

ইরাক থেকেই বেরিয়েছে খারিজী, শিয়া, রাফিযী, বাত্বিনী, ক্বাদারী, জাহ্মী, মু’তাযিলী এবং বহু কুফরি কথার জন্মই তো এ পূর্ব এলাকায়। র্যাদাশ্তিয়্যাহ্ ও মানাবিয়্যাহ্ তথা আলো-আঁধার থেকেই পৃথিবীর সকল বস্তুর সৃষ্টি, মুয্দাকিয়্যাহ্ তথা পৃথিবীর সকল মানুষই যে কোন মেয়ে ও যে কোন মালের সমান অংশীদার, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম, কাদিয়ানী, বাহায়ী ইত্যাদি অত্র এলাকারই জন্ম। তাতারীদের আবির্ভাবও এ দিক থেকে। এ পর্যন্তও অত্র পূর্ব এলাকা সকল ফিতনা, অকল্যাণ, বিদ্’আত ও আল্লাহ্ বিরোধীদের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত। ইয়াজূজ-মা’জূজ অচিরেই এ দিক থেকেই বেরুবে।

***লিখেছেনঃ এহসানুল করিম ভাই***