রমযানের ফযীলত সম্পর্কিত হাদীস সমূহ

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْه أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ
📚(১০২৬) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘রমযান উপস্থিত হলে জান্নাতের দ্বারসমূহকে উন্মুক্ত করা হয়, দোযখের দ্বারসমূহকে রুদ্ধ করে দেওয়া হয়, আর সকল শয়তানকে করা হয় শৃঙ্খলিত।’’ (বুখারী ১৮৯৯, ৩২৭৭, মুসলিম ২৫৪৭)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

=====================

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ وَفُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجِنَانِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَنَادَى مُنَادٍ : يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ، وَذَلِكَ عِنْدَ كُلِّ لَيْلَةٍ
(১০২৭) উক্ত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘রমযান মাসের প্রথম রাত্রি যখন আগত হয়, তখন সকল শয়তান ও অবাধ্য জিনদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের সকল দরজা বন্ধ করা হয়, সুতরাং তার একটি দরজাও খোলা হয় না। পরন্তুজান্নাতের সকল দরজা খুলে রাখা হয়, সুতরাং তার একটি দরজাও বন্ধ রাখা হয় না। আর একজন আহ্বানকারী এই বলে আহবান করে, ‘হে মঙ্গলকামী! তুমি অগ্রসর হও। আর হে মন্দকামী! তুমি পিছে হটো (ক্ষান্ত হও)। আল্লাহর জন্য রয়েছে দোযখ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ (সম্ভবতঃ তুমিও তাদের দলভুক্ত হতে পার)।’ এরূপ আহবান প্রত্যেক রাত্রেই হতে থাকে।’’ (তিরমিযী ৬৮২, ইবনে মাজাহ ১৬৪২, ইবনে খুযাইমাহ ১৮৮৩, ইবনে হিব্বান ৩৪৩৫, বাইহাকী ৮২৮৪, হাকেম ১৫৩২, সহীহ তারগীব ৯৯৮)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

=====================

عَنْ مَالِكُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَعِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمِنْبَرَ فَلَمَّا رَقِيَ عَتَبَةً قَالَ: “آمِينَ”: ثمَّ رقى أُخْرَى فقَالَ: “آمِينَ” ثُمَّ رَقِيَ عَتَبَةً ثَالِثَةً فَقَالَ: “آمين” ثمَّ قَالَ: “أَتَانِي جِبْرِيل عليه السلام فقَالَ يَا مُحَمَّدُ مَنْ أَدْرَكَ رَمَضَانَ فَلَمْ يغْفر لَهُ فَأَبْعَده الله فَقلت آمِينَ قَالَ وَمَنْ أَدْرَكَ وَالِدَيْهِ أَوْ أَحَدَهُمَا فَدخل النَّار فَأَبْعَده الله فَقلت آمين قَالَ وَمَنْ ذُكِرْتَ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ فَأَبْعَدَهُ فَقلتُ آمين
📚(১০২৮) মালিক বিন হাসান বিন মালিক বিন হুয়াইরিষ তাঁর পিতা হতে, তিনি (হাসান) তাঁর (মালেকের) পিতামহ (মালিক বিন হুয়াইরিষ) হতে বর্ণনা করে বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে চড়েন। প্রথম ধাপে চড়েই বললেন, ‘‘আমীন।’’ অতঃপর দ্বিতীয় ধাপে চড়ে বললেন, ‘‘আমীন’’ অনুরূপ তৃতীয় ধাপেও চড়ে বললেন, ‘‘আ-মীন।’’ অতঃপর তিনি (এর রহস্য ব্যক্ত করে) বললেন, ‘‘আমার নিকট জিবরীল উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ! যে ব্যক্তি রমযান পেল অথচ পাপমুক্ত হতে পারল না আল্লাহ তাকে দূর করেন।’ তখন আমি (প্রথম) ‘আ-মীন’ বললাম। তিনি আবার বললেন, ‘যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে অথবা তাদের একজনকে জীবিতাবস্থায় পেল অথচ তাকে দোযখে যেতে হবে, আল্লাহ তাকেও দূর করুন।’ এতে আমি (দ্বিতীয়) ‘আ-মীন’ বললাম। অতঃপর তিনি বললেন, ‘যার নিকট আপনার (নাম) উল্লেখ করা হয় অথচ সে আপনার উপর দরূদ পাঠ করে না, আল্লাহ তাকেও দূর করুন।’ এতে আমি (তৃতীয়) ‘আমীন’ বললাম।’’ (ইবনে হিব্বান ৯০৭, সহীহ তারগীব ৯৯৬)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

=====================

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ دَخَلَ رَمْضَانَ فقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إنّ هذا الشَّهْرَ قد حَضَرَكمْ وفيه لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ ألْفِ شَهْرِ مَنْ حُرِمَها فقد حُرِمَ الخَيْرَ كُلّهُ ولا يُحْرَمُ خَيْرَها إلاّ مَحْرُومٌ
📚(১০২৯) আনাস বিন মালিক (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, তিনি বলেন, রমযান উপস্থিত হলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘এই মাস তোমাদের নিকট উপস্থিত হয়েই গেল। এই মাসে এমন একটি রাত্রি রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। যে ব্যক্তি ঐ রাত্রের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হল, সে যেন সর্বপ্রকার কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত থেকে গেল। আর একান্ত চিরবঞ্চিত ছাড়া ঐ রাত্রের কল্যাণ থেকে অন্য কেউ বঞ্চিত হয় না।’’ (ইবনে মাজাহ ১৬৪৪, সহীহ তারগীব ১০০০)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

=====================

عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ إِنَّ لِلهِ عَزَّ وَجَلَّ عِنْدَ كُلِّ فِطْرٍ عُتقاءُ
(১০৩০) আবু উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘প্রত্যহ ইফতারী করার সময় আল্লাহ বহু মানুষকেই দোযখ থেকে মুক্তিদান করে থাকেন।’’ (আহমাদ ২২২০২, ত্বাবারানী ৮০১৪, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৩৬০৫, সহীহ তারগীব ১০০১)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
======================

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالى عُتَقَاءَ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ يَعْنِيْ فِيْ رَمَضَانَ وَإِنَّ لِكُلِّ مُسْلِمٍ دَعْوَةً مُسْتَجَابَةً
(১০৩১) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘নিশ্চয়ই (রমযানের) দিবারাত্রে বরকতময় মহান আল্লাহর জন্য রয়েছে বহু (দোযখ থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ (যাদেরকে তিনি মুক্ত করে থাকেন)। আর প্রত্যেক মুসলিমের জন্য রয়েছে প্রত্যহ দিবারাত্রে গ্রহণ (কবুল) যোগ্য দু‘আ। (প্রার্থনা করলে মঞ্জুর হয়ে থাকে।) (আহমাদ ৭৪৫০, ত্বাবারানীর আওসাত্ব ৬৪০১, বাযযার, সহীহ তারগীব ১০০২)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)