লেখার সময় পূরো দরূদ লেখার পরিবর্তে সা./স. ইত্যাদি সংক্ষিপ্ত শব্দ দ্বারা দরূদ লেখার বিধান।

লেখার সময় পূরো দরূদ লেখার পরিবর্তে সা./স. ইত্যাদি সংক্ষিপ্ত শব্দ দ্বারা দরূদ লেখার বিধান।
***************************************************************************************************
আমাদের উচিত হল, আমরা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরূদ পড়ব তখন পুরো দরূদ পড়ব এবং যখন তার নামের শেষে দরূদ লিখব তখনও দরূদ শরিফ পুরোপুরি খিলব। কোনো প্রকার সংকেত বা কোনো অসমাপ্ত শব্দ ব্যবহার করব না।
শাইখ আব্দুল আযীয ইবন বায রহ. বলেন, …আমরা জানি যেমনিভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ সালাতের তাশাহুদের পর, খুতবার সময়, দো‘আ ইস্তেগফারের সময়, আজানের পর, মসজিদে প্রবেশে ও বাহির হওয়ার সময় অনুরূপভাবে কোনো কিতাব, প্রবন্ধ, রিসালা ও লেখনি লেখার সময় ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম লিখার সময় পুরো দরূদ লেখা সূন্নাত। আর দরূদটি পরিপূর্ণ লিখতে হবে, যাতে আল্লাহর আদেশের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয় এবং একজন পাঠক যখন তা পাঠ করে সে বুঝতে পারে যে এখানে দরূদ পড়া হয়েছে। সংক্ষিপ্তাকারে যেমন- (সা.)(ص) أو (صلعم) ইত্যাদি লেখা কোনোক্রমেই উচিত নয়। অনেককে এভাবে লেখতে দেখা যায়, এটি আল্লাহ তা‘আলার বাণী-{صَلُّوا عَلَيْهِ وسَلِّمُوا تَسْلِيماً} (الأحزاب:56). এর পরিপন্থী। এছাড়াও এ দ্বারা দরূদ পড়ার উদ্দেশ্য পূরণ হয় না এবং দরূদ পড়ার যে সব লাভের কথা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত তা হতে বঞ্চিত হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় একজন পাঠক সংকেত দ্বারা কি উদ্দেশ্য তা বুঝতে পারে না এবং সজাগ থাকে না। এ কারণেই আহলে ইলম সংকেত দিয়ে দরূদ শরীফ লেখাকে অপছন্দ করেন। দেখুন মাজমুয়ায়ে ফতওয়ায়ে ইবন বায, পৃ: ৩৯৭-৩৯৯/২
——————————————–
পোস্টঃ- মোহাম্মাদ আবু হানিফ (দুবাই)